নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যে নতুন চমক দিলেন। গত রোববারের (১২ নভেম্বর) সমাবেশে ইভিএমে(
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)নির্বাচন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার পরের দিনই একজন নির্বাচন কমিশনার জানালেন,
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী থাকতে পারে এবং ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে না।নবগঠিত এই নির্বাচন কমিশন সাবেক বিরোধী দল বিএনপি কথা আস্থা অর্জন করার উঙ্গিথ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সেনা কিভাবে মোতায়েন হওয়ার প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন,“সময়ই বলে দেবে সেনা মোতায়েন কীভাবে হবে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা কখনোই বলব না যে, সেনা মোতায়েন হবে না।”
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিকালে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সবার অনুভূতি হচ্ছে যে, সেনা মোতায়েন হবে। তবে সেনাবাহিনীকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাব, কী প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবে সেটা বলার সময় হয়নি। কমিশন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশন সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, “পুরাতন ইভিএম অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু ভালো আছে সেগুলো দিয়ে রংপুর কিংবা অন্য জায়গায় দেখার চেষ্টা করছি ইভিএম কার্যকর করা যায় কি না।তবে এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতেই হবে এমন চিন্তা কমিশনের নেই।”
ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইভিএম যুক্ত করার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে যারা আসবে তাদের পথটা আমরা রুদ্ধ করতে চাই না। তাদের পথ প্রশস্ত করতে চাই। আমাদের ইভিএম ব্যবহারের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেই। এখন পর্যন্ত যে দশা দেখছি এটা ব্যবহার সম্ভব নয়। আমাদের একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। সেই স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ যন্ত্র দিয়ে হবে না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এখন আগামী নির্বাচনে ‘সহায়ক সরকার’ চাইছে।
রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বিএনপি নেত্রী খালেদা দাবী ছিলো, নির্দলীয় সরকারের পাশাপাশি নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএমে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানান।তবে তার ওই দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, “বিএনপি তো বলেছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনা মোতায়েন করতে। বিএনপির সেই বক্তব্যের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়ার জবাব দেওয়া আমার কাজ না।”
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে আরপিওতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষাবাহিনীকে যুক্ত করে ভোটের সময় তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানায় বিএনপি। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে সুপারিশগুলো করে তার মধ্যে অন্যতম ছিল সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না দেওয়া। পাশাপাশি ইভিএমে ভোট করা যায় কি না সে প্রস্তাব দিয়েছিল তারা।