মিয়ানমারের নিকট রাসায়নিক অস্ত্র থাকার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৬ ১৭:১৫:০৫ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৬ ১৭:১৫:০৫

ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র আছে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কাছে ১৯৮০ সালের দিকে করা রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের।
দ্য জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়, সোমবার ২৬ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র এ দাবি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সহকারী মহাসচিব টমাস ডিন্যান্নো বলেন, ‘ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য ছিল ১৯৮০ সালে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি হাতে নেয়। সেখানে সালফার মাস্টার্ড গ্যাসও ছিল। মিয়ানমারের কাছে এখনো মাস্টার্ড গ্যাস মজুদ থাকতে পারে।’
এ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়াশিংটন এই ব্যাপারটি নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং অস্ত্র ধ্বংস করতে মিয়ানমারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
মিয়ানমার ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে (সিডব্লিউসি) যোগ দিয়েছিল। সেই সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। সেখানে মিয়ানমার তার রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে জানাতে ও নষ্ট করতে রাজি না হলে সিডব্লিউসি’র ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার এর আগে রাসায়নিক অস্ত্র সংরক্ষণ ও ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।
২০১৩ সালে একটি সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মিয়ানমারের পুলিশ দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর ফসফরাস গ্যাস ব্যবহার করে। ২০১৪ সালে পাঁচ সাংবাদিককে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করার প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
তার আগের বছর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দেশটির উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষ চলাকালে কাচিন বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। যদিও তারা তা অস্বীকার করে।
ট্যাগ :
© 2016 - All Rights Reversed dailyctgnews
Web Developed by Ctgtimes (Pvt.) Limited