যুক্তরাষ্ট্রে হোটেলে আইসোলেশন এ সাকিব আল হাসান
প্রকাশ: ২০২০-০৩-২২ ১৫:২৮:১৭ || আপডেট: ২০২০-০৩-২২ ১৫:২৮:৪১

ডেস্ক রিপোর্ট: সংক্রামক করোনাভাইরাস ঠেকাতে সবাইকে কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন নিষেধাজ্ঞায় থাকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি জানিয়েছেন, করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে নিজেকে ‘আইসোলেটেড’ করে রেখেছেন তিনি।
শনিবার ২১ মার্চ বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি বলে আখ্যায়িত করেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন আমাদের দেশে কয়েকজন করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে। আমাদের এখনই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সতর্কতাই পারে আমাদের দেশকে আর আমাদের সুস্থ রাখতে।’’
করোনা থেকে বাঁচার সহজ পদ্ধতিগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে আমরা এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো, আমাদের দেশকেও মুক্ত রাখতে পারবো। যেমন- সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় সঠিক শিষ্টাচার মেনে চলা। বিদেশফেরত যদি কেউ থাকে তবে তার নিজেকে ঘরে রাখা এবং যেন ঘরের বাইরে না যান সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আত্মীয়-স্বজন বা বাইরের মানুষ আপনার সাথে এসে যেন দেখা করতে না পারে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে যা খুবই জরুরি।
করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হোটেলে নিজেকে ‘আইসোলেটেড’ করে রেখেছেন উল্লেখ সাকিব আল হাসান বলেন, একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র এসে পৌঁছালাম। যদিও প্লেনে সব সময় ভয় কাজ করেছে একটু হলেও। তারপরও চেষ্টা করেছি, নিজেকে কিভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। তারপর যখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালাম, আমি সোজা একটি হোটেলের রুমে উঠেছি। আমি ওদের অবগত করেছি, এখানে থাকব কিছুদিন এবং আমি যেহেতু ফ্লাই করে এসেছি আমার একটু হলেও রিস্ক আছে। তাই আমি নিজেকে ‘আইসোলেটেড’ করে রেখেছি। যে কারণে আমি আমার বাচ্চার সাথে দেখা করিনি। এটা অবশ্যই আমার জন্য কষ্টের।
৪ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় সাকিব আরও বলেন, ‘‘তারপরও আমার কাছে মনে হয়, আমার এই সামান্য স্যাক্রিফাইসটুকু করতে পারলে অনেক দূর এগুতে পারব। সো, এ কারণেই আমাদের দেশে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের সবারই ছুটি অনেক কম থাকে। তারা চায় আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে, ঘোরাফেরা করতে, আড্ডা দিতে কিংবা কোনও অনুষ্ঠানে একত্রিত হতে। যেহেতু আমাদের সময়টা অনুকূলে না, আমি সবাইকে রিকোয়েস্ট করব এই নিয়মগুলো যেন সবাই মেনে চলেন। কারণ আমাদের এই সামান্য স্যাক্রিফাইসটুকু পারে আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুস্থ রাখতে এবং আমাদের নিজেদেরও সুস্থ রাখতে। আশা করি সবাই আমার এই কথাগুলো শুনবেন এবং কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যেসব দিক-নির্দেশনা দিয়েছে, এগুলো সম্পর্কেও অবগত হবেন এবং সেভাবে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবেন।’’
মানুষকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘‘আর একটা কথা অবশ্যই বলতে চাই, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমার মনে হয় না এটা কোনও ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে। আমি খবরে দেখেছি, অনেকে ৩, ৪, ৫ বা ৬ মাস পর্যন্তও খাবার সংগ্রহ (মজুত) করছেন। আমার ধারণা, খাবারের সঙ্কট কখনোই হবে না ইনশাআল্লাহ্। আমরা কেউ না খেয়ে মারা যাব না। তাই আমরা আতঙ্কিত না হই। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আমাদের এর থেকে রক্ষা করতে। এবং সেটা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সম্ভব। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন এবং প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ বা বাড়ির বাইরে বের হবেন না।’’
ট্যাগ :
© 2016 - All Rights Reversed dailyctgnews
Web Developed by Ctgtimes (Pvt.) Limited