বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ভাষণটি দিবেন ট্রাম্প। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প প্রশাসনের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এসব কথা জানান।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তাতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে এবং এতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে বলে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন।
কিন্তু সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যেই তার সমর্থকরা ও ইসরায়েল সরকার উল্লাস প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ট্রাম্প একটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি ওয়েভারে স্বাক্ষর করবেন, এতে তিনি দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি এখনকার মতো পিছিয়ে দিতে পারবেন, কারণ জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের জন্য এখনও কোনো ভবন প্রস্তুত করা হয়নি। পুরো জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে ইসরায়েল; ট্রাম্পের এ ঘোষণায় প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের দাবিটি স্বীকৃতি পাবে।
আন্তর্জাতিক মহল পুরো জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। প্রাচীন এই শহরটিতে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান আছে।
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল, জেরুজালেমের মর্যাদা কী হবে তা অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে (ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে) আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে; কিন্তু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ওই নীতি পুরোপুরি পাল্টে যাবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই ট্রাম্প এ ঘোষণা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম।