পুলিশ বলছে, গুলিবিদ্ধ এনামুল হক মানিক (২৭) বন্দরনগরীর ১৮ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হামিদ। এদিকে গুলির ঘটনায় মো. রমজান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে দায়ী করেছে মানিক ও তার বন্ধুরা। বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, গুলি করার ঘটনায় রমজান নামে একজনকে দায়ী করেছে মানিক। রমজানকে স্থানীয়রা বখাটে বলে জানে। তবে কেন রমজান এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা মানিক জানাতে পারেননি বলে ওসি জানান।
মানিকের বন্ধু আবুল কাশেম বিড বলেন, রাতে মানিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে বসে টিভি দেখছিলেন। এসময় মানিককে বাসায় খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে টেলিফোনে তাকে দেখা করতে বলেন রমজান।রমজন স্থানীয় এক যুবককে মানিকের খোঁজে ওই অফিসেও পাঠিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “মানিক রমজানের সাথে কথা বলতে অফিস থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর রমজান তাকে গুলি করতে উদ্ধত হয়। এসময় মানিকের সাথে ধস্তাধস্তিতে গুলিটি তার বুকের পাশ দিয়ে চলে যায়।”
মানিকের সাথে রমজানের কোনো শত্রুতা নেই বলেও দাবি করেন কাশেম। মানিককে গুলি করার ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
তিনি বলেন, মানিক বাকলিয়া এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ও মাদক বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। এসব ঘটনায় একটি মহল তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। ওই মহলটি রমজানকে দিয়ে এ ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।