নদীর বুকে আলো-আঁধারের মূর্ছনায় প্রশান্তির ভ্রমণ!
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৫ ০৪:৩৫:৪৯ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৫ ০৪:৩৫:৪৯

দিনের আলো ফুরিয়ে চারদিক থেকে ঘনিয়ে আসছে আঁধার। আঁধার চিরে দেখা দিচ্ছে ভরা পূর্ণিমার আলোর মূর্ছনা। চাঁদের অালোর এমন মায়াবী পরিবেশে ভ্রমণপিপাসু একদল মানুষকে নিয়ে ব্যস্ত নগরীর নদীর বুক চিরে ছুটছে জাহাজ বনবিবি।
রাজধানীর কোলাহল ছেড়ে ৩০০ ফুট রাস্তা হয়ে কাঞ্চন ব্রিজের আগে একটু বামে এগিয়ে শিমুলিয়া ঘাট। এ ঘাট থেকেই সপ্তাহে দু’দিন শীতলক্ষ্যার বুকে ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে ছুটে চলে এলভি বনবিবি জাহাজ।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এ আয়োজন করেছে বেসরকারি সংস্থা ঢাকা ডিনার ক্রুজ। শনিবার (০৪ নভেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীতে ডিনার ক্রুজের এমন দৃশ্যের সঙ্গী আমিও।
যাত্রার সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় হলেও পযর্টকদের আসতে দেরিতে হওয়ায় শুরু হতে হতে সন্ধ্যা। দো’তলা জাহাজে ভ্রমণবিলাসীদের জন্য সোফা, কেবিন, চেয়ার-টেবিল সুদৃশ্যভাবে সাজানো।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে ট্রলারেযোগে এগিয়ে জাহাজে উঠতেই কানে আসে নদী নিয়ে নস্টালজিক বিখ্যাত সঙ্গীত ‘ওরে নীল দরিয়া, আমায় দেরে দে ছাড়িয়া….’। স্বাগত স্ন্যাকসের সঙ্গে একটার পর একটা নদী কেন্দ্রিক বাংলা গান ব্যতিক্রমী অনুভূতির সঞ্চার করে।
একটু পরেই নদী পুরোপুরি আঁধারে ঢেকে যায়। গাছ-গাছালির আড়ালে নদীর দু’ধারের বসত-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও কল-কারখানার লাইটের আলোর ঝলকানি। আকাশে চাঁদের মায়াময় আলোর বিচ্ছুরণ। যেন লাইটের কৃত্রিম আলো জ্যোৎস্নার সঙ্গে মেলবন্ধন গাঁথার বৃথা চেষ্টায় রত।
নদীতে পড়া চাঁদের আলো ভেসে যাওয়া কচুরিপানার গায়ে পড়লে চিকচিক করে উঠছে পাতাগুলো। ভরা পূর্ণিমার আলোয় ছলাৎ ছলাৎ করে ওঠা শীতলক্ষ্যার ঢেউ কর্মব্যস্ত নগর জীবনে যেন প্রশান্তির পরশ।
উসখুস করছে ভ্রমণ সহ-যাত্রীরা। কেউ শান্ত পরিবেশ ভেঙে হুল্লোড়ে মেতে উঠার ইচ্ছায়, আবার কারো ভালো লাগার এ নীরবতা যেন কোনোভাবেই না ভাঙে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই ধরনের ইচ্ছাই পূর্ণতা পেল। লালন গীতির পাশাপাশি স্থান করে নিলো সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ঢাকা অ্যাটাকের বহুল আলোচিত ‘টিকাটুলির মোড়’ গান। গানের সঙ্গে উদ্যাম নাচও।
ট্যাগ :
© 2016 - All Rights Reversed dailyctgnews
Web Developed by Ctgtimes (Pvt.) Limited